Monthly Archives: জানুয়ারি 2014

সহিহ হাদিস পেয়ে ইমাম মালেকর (রহ) মতের পরিবর্তন।

Image

ইমাম ইবনে জাবির তাবারী (র) এই ঘটনাটি তার কিতাবে লিখেছেন,
একদিন ইমাম শাফেয়ী (রহ) ইমাম মালেকের (রহ) দার্সের ক্লাসে উপস্থিত ছিলেন। সেই সময় ইমাম শাফেয়ীর (রহ) বয়স ১৪ বছর ছিল। ইতিমধ্যে জনৈক এক ব্যাক্তি ইমাম মালিকের (রহ) কাছে এসে বললেন, হে আব্দুল্লার পিতা, আমি বড় চিন্তায় পরেছি। আমি তোতা পাখির কেনা বেচার ব্যাবসা করি।আজ আমি এক ব্যাক্তির নিকট তোতা বিক্রয় করেছিলাম।কিছুক্ষন পরে ক্রেতা ফিরে এসে বললো, তোমার তোতা কথা বলেনা।এই বিষয়ে তার সাথে আমার কথা কাটাকাটি হল। আমি জোর গলায় তাকে বললাম, আমার তোতা কখন নির্বাক থাকে না।যদি নির্বাক হয় তাহলে আমার স্ত্রীর উপর তালাক।আমার এখন কি হবে?

ইমাম মালেক (রহ) সব বিষয় বৃত্তানৱ শুনে বললেন : তোমার স্ত্রীর উপর তালাক সংঘটিত হয়েছে।

লোকটি অত্যন্ত দুঃখের সাথে বিলাপ করতে করতে বাড়ির দিকে চলে গেল। আর বালক শাফেয়ী (রহ) দার্স থেকে বেড় হয়ে চুপি চুপি লোকটির অনুসরন করতে লাগলেন। কিছুদুর গিয়ে বালক শাফেয়ী (রহ) তোতার ব্যাবসায়ীকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার তোতা অধীকাংশ সময় সবাক থাকে না নির্বাক? লোকটি বললো, বেশির ভাগ সময় আমার তোতা কথা বলে থাকে তবে কখন কখন চুপ হয়ে যায়।
বালক শাফেয়ী (রহ) বললেন, যাও তোমার স্ত্রীর উপরে তালাক সংঘটিত হয় নাই।
এ কথা বলে ইমাম শাফেয়ী (রহ) ফিরে এসে দার্সে যোগদান করলেন।

সেই লোকটিও তার সাথে সাথে এসে ইমাম মালেক (রহ) দার্সে এসে বলতে লাগলেন : জনাব আমার বিষয়টি দয়াকরে একটু গভীর ভাবে ভেবে দেখুন।

ইমাম মালেক (রহ) কিছুক্ষন চিন্তা করে বললেন: আমি তোমাকে পূর্বে যা বলেছি সেটাই সঠিক জবাব।

লোকটি বললো: আপনার ছাত্র মন্ডলির মাঝে একজন আমাকে বললো যে, তালাক হয় নাই?

ইমাম মালেক (রহ) বললেন: সেই ছাত্রটি কে?

লোকটি ইমাম শাফেয়ী (রহ) দিকে দেখিয়ে বললেন : ঐ বালক ছাত্র এ কথা বলেছে।

ইমাম মালেক একটু রাগ হয়ে বললেন : তুমি এই অবৈধ রায় কি ভাবে প্রদান করলে?

ইমাম শাফেয়ী (রহ) বললেন : আমি তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম তোমার তোতা বেশিরভাগ সময় চুপ থাকে না কথা বলে? সে বললো তার তোতা অধীকাংশ সময় সবাক থাকে। এজন্য আমি এই রায় প্রদান করেছিলাম।

ইমাম মালেক (রহ) রাগ হয়ে বললেন : সবাক বা নির্বাক থাকার সময়ের সল্পতা ও আধীক্যর সাথে এই তালাকের সম্পর্ক কি?

ইমাম শাফেয়ী (রহ) বললেন : আপনি সয়ং উবায়দুল্লাহ বিনে যিয়াদের থেকে বর্নণা করে রসুল (সা) থেকে হাদিস শুনিয়েছেন যে, ফাতিমা বিনতে কায়েস (রাআ) রসুল (সা) এর কাছে উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রসুল (সা) আবু জাহাম এবং মুআবিয়া উভয়েই আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে। আমি তাদের দুই জনের মধ্যে কাকে বিবাহ করব? রসুল (সা) বললেন, মুআবিয়া দরিদ্র ব্যাক্তি আর আবু জাহাম কোন সময়ই তার কাধ হতে লাঠি নামায় না।

ইমাম শাফেয়ী (রহ) বললেন : অথচ রসুল (সা) নিশ্চই এটা অবগত ছিলেন যে, আবু জাহাম পানাহর করেন এবং নিদ্রা যান। (সে সময় তাকে লাঠি নামাতে হয়) এই হাদিসটির সাহায্যে আমি বুঝলাম যে, আবু জাহম কোন সময় তার কাধ হতে লাঠি নামান না এর দারা রসুল (সা) এটাই বুঝাতে চেয়েছেন যে,তার অধিকাংশ সময়ের আচরনকে রসুল (সা) সর্বকালিন আচরন রুপে অভীহিত করেছেন। এই হাদিসের অনুসারে তোতা বিক্রেতার কথা, আমার পাখি কখন চুপ থাকে না আমি এই তাতপর্য গ্রহণ করেছি যে, কখন চুপ না থাকার অর্থ অধীকাংশ সময় চুপ না থাকা।

ইমাম মালেক (রহ) দলিল সহ এই ফাতাওয়া শুনে অত্যন্ত খুশি হলেন এবং ইমাম শাফেয়ীর (রহ) কথাই বলবৎ রাখলেন।

আল্লাহু আকবার। ইমাম মালেক (রহ) হাদিসকে মেনে নিলেন তার নিজের মতামতকে উপেক্ষা করে।এটাই হওয়া উচিত খাটি মুসলিমের চরিত্র।
(ফিরকা বন্দি ও অনুসরনীয় ইমামদের নীতি ১০৬ পৃস্টা হতে সংগ্রীহিত)

অসৌন্দর্যের মাঝে সৌন্দর্যকে হারিয়ে ফেলা অতঃপর জাহান্নাম।

Manustin

আলহামদুলিল্লাহ, ওয়াসসলাত ওয়াসসালাম আলা রসুলিল্লাহ (সা)

নিশ্চই আমার এই লেখা মুসলিম বোনদের জন্য যারা নিজেকে মুসলিম দাবি করে হোক জেনে বুঝে অথবা বংশ পরম্পরায়। তবে এই লেখা থেকে পুরুষ ও বাদ যাবার নয়। নিশ্চই রসুল (সা) বলেছেন, প্রত্যেকেই তার নিজের স্থানে একজন রাখাল আর তার রাখালী সম্মন্ধ্যে তাকে জিজ্ঞাসা করা হবে (বুখারী) তাই হে ভাই, নিশ্চই আপনাকে আপনার পরিবার সম্মন্ধ্যে জিজ্ঞাসা করা হবে কিভাবে তাদেরকে রেখেছেন।

কোরআনে আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা বলেছেন,

কুআনফুসাকুম ওআহলিকুম নারা অর্থাৎ তোমরা নিজেরা বাচো ও তোমাদের পরিবারকে বাচাও জাহান্নাম থেকে।

তাই আপনাদের এগিয়ে আসতে হবে এবং জানতে হবে নিজে বাচার জন্য ও আপনার পরিবারকে বাচানোর জন্য সেই হুতামা থেকে, যার বন্দবস্ত  মহান আল্লাহ বানিয়ে রেখেছেন কাফেরদের জন্য। আর আমাদেরকে সরল পথ দেখিয়েছেন তার দয়ায় রসুল (সা) এর মাধ্যমে।

মুল প্রসঙ্গ।

আমাদের দেশে বেশিরভাগ শহর অঞ্চলে এবং ইদানিং গ্রাম-গঞ্জে একটি কালচার সৃষ্টি হয়ে উঠেছে। এই কালাচার এখন যেনো জীবনের একটা অংশ হয়ে উঠেছে।  আমাদের তরুন সমাজের বোনদের এবং বিবাহিত বোনদের জন্য।ইদানীং আনাচে কানাচে, রাস্তার পাশে, বাসার ফ্ল্যাটে, যেকোন যায়গায় দেখা যায় একটি কথা বিউটি পার্লার

আর এই বিউটি পার্লারের সমস্যাও আমাদের চোখের সামনে সদা সর্বদাই দেখা যাচ্ছে। এইতো বেশিদিন হয়নি ”পরসোনার ভিডিও ব্লাকমেইলিং” কে না জানেন। বোনদেরকে স্পার নামে তার নগ্ন ভিডিও ধারন করে তাকে ব্লাকমেইল করা হচ্ছে। তাতে সম্মান হানি হচ্ছে আমাদের বোনদের। হে পুরুষ ভাই আপনি কি এতে পরক্ষ ভাবে দোষি নন?

এখন এমন হয়ে উঠেছে যেনো  আগের যুগের মা/বোনেরা বিউটি পর্লার না যাবার কারনে সুন্দরই ছিল না। পার্লারে না গেলে যেনো আনস্মাট গেয়ো হয়ে যায় (তাদের ভাষায়, কিন্তু আমার কাছে এরই সর্বোত্তম)।

পার্লারে একটা কাজ সচরাচর করা হয় আর তা হলো ভ্রু প্লাক বা ভ্রু উপরে ফেলা প্রায় সব বোনদেরকেই দেখা যায় তারা ভ্রু উপরে ফেলে হোক সেটা পার্লারে গিয়ে অথবা বাসায় বসে। এমনও বোন দেখাযায় যারা পর্দা করে কিন্তু ভ্রু উপরে ফেলে।

আমি তাদেরকেই বলছি, হে মুসলিমা/মুমিনা বোন হতে পারেন আপনি তাদের একজন। হতে পারে আপনি আগে জানতেন না তাই ভুল হয়ে গেছে তাই আজ আপনাকে জানানোর জন্য এই লেখার উদভব। জেনে নিন এবং তওবা করে নিন ইনশাল্লাহ আল্লাহ মাফ করবেন।

খেয়াল রাখবেন নিশ্চই আপনি রসুল (সা) এর স্ত্রী/মহিলা সাহবা (রাআ) দের চেয়ে উত্তম নন  এটাগ্যারান্টির সাথে বলা যায়। তাই ভ্রুর উপরে ফেলা সম্মন্ধ্যে আজকে জেনে নিন আর এ থেকে বীরত থাকুন, আপনার অন্য বোনদেরকেও  সাবধান করুন।আল্লাহ আপনাদেরকে জাজাইখাইর দান করবেন ইনশাল্লাহ।

ভ্রু উফড়ে ফেলা শরীয়ত কি বলে?

জেনে  রাখবেন, রুপ সৌন্দয্য দুই প্রকার  ১. অভ্যন্তরীণ /চারিত্রিক  ২. বাহ্যিক/দৈহিক। নারীর লজ্জাশীলতা তার রূপ সৌন্দয্যর চেয়েও বেশি আকর্ষণীয়।

রসুল (সা) বলেন, তুমি সন্দর চরিত্র ও দীর্ঘ নিরবতা  অবলম্বন করো। সেই সত্তার কসম যার হতে আমার প্রাণ, সারা সৃষ্টি উক্ত দুই (অলংকারের) মত অন্য কিছু দিয়ে সৌন্দর্যমন্ডিত হতে পারে না। (সহীহুল জামে ৪০৪৮)

কোরআনে আল্লাহ বলেছেন,

আমিতো সৃষ্টি করেছি মানুষকে সুন্দরতম গঠনে  (সুরা ত্বিন ৯৫/৪)

আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা জানেন কিভাবে মানুষকে বানাতে হবে আর তিনি কসম করে বলেছেন যে তিনি মানুষকে  সুন্দরতম গঠনে বানিয়েছেন। তাই তার সৃষ্টির মাঝে পরিবর্তন করা উচিৎ নয়।

মানষকে উক্ত সকল জিনিসের ব্যাবস্থা করাটাই আহসানি তাক্বইম বলাহয়েছে যা মানুষের জন্য দরকার।যা মহান আল্লাহ তিনটি জিনিসের কসম করার পর বলেছেন ১.ত্বীন ২.জাইতুন ৩.সিনাই পর্বত (ফাতহুল কাদির)

আল্লাহ তাদেরকে জাহান্নামের অধীবাসী করে দেন যারা আল্লাহ ও রসুল (সা) এর আনুগত্য না করে। (তাফসির ইবনে কাসির, সুরা ত্বীন)

হাদিসে রসুল (সা) থেকে রূপ পরিবর্তন কারীর উপর লানত রয়েছে।

আলক্বামাহ (রহ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন: সৌন্দর্যের উদ্দেশ্যে যে সব নারী অঙ্গ প্রত্যঙ্গে উল্‌কি আকে, যে সব নারী ভ্রু উপড়ে ফেলে এবং যেসব নারী দাত সরু করে, দাতের মাঝে ফাক করে- যা আল্লাহর সৃষ্টিকে বদলে দেয়, তাদের উপর আবদুল্লাহ (রা) (ইবনু মাসউদ) লানত করেছন। উম্মু ইয়াকুব বলল: এ কেমন কথা?  আবদুল্লাহ বললেন :  আমি কেন তাকে লনত করব না, যাকে আল্লাহর রসুল (সা) লানত করেছেন এবং আল্লাহর কিতাবও। উম্মু ইয়াকুব বলল : আল্লাহর কসম! আমি পূর্ণ কুরআন পাঠ করেছি, কিন’ এ কথা তো কোথাও পাইনি। তিনি বললেন :  আল্লাহর কসম! তুমি যদি তা পড়তে তবে অবশ্যই পেতে , ওয়ামা আতাকুমুর রসুলু ফাখুজুহু ওয়ামা নাহাকুম আনহু ফানতাহু অর্থ: রসুল তোমাদেরকে যা দেয় তা গ্রহণ কর, আর তোমাদেরকে যাথেকে নিষেধ করেন তাথেকে বিরত থাক। (সুরা হাশর ৫৯/৭)

(সহিহ আল বুখারী,তাওহীদ প্রকাশনী, ৫ম খন্ড, পর্ব:৭৭ অধ্যায়:৮৪ বাব: ভ্রু উপড়ে ফেলা হাদিস নং: ৫৯৩৯)

আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সৌন্দর্যের জন্য উলকি আঙ্কনকারী ও উলকি গ্রহণকারী, ভ্রু উত্তলনকারী নারী এবং দাত সরু করে মাঝে ফাক সৃষ্টিকারী নারী, যা আল্লাহর সৃষ্টিকে বদলে দেয়, তাদের উপর আল্লাহর অভিশাপ বর্ষিত হোক। (রাবী বলেন) আমি কেন তাকে অভিশাপ করব না, যাকে আল্লাহর রসুল (সা) অভিশাপ করেছেন এবং তা আল্লাহর কিতাবে বিদ্যমান রয়েছে।

(সহিহ আল বুখারী,তাওহীদ প্রকাশনী, ৫ম খন্ড, পর্ব:৭৭ অধ্যায়:৮৫ বাব: পরচুলা লাগানো সম্পর্কিত হাদিস নং: ৫৯৪৩)

তাই হে ভাই/বোন আল্লাহ ও তার রসুল (সা) চান আমাদেরকে জাহান্নাম থেকে বাচাতে, আর আমরা জানার পরেও যদি জাহান্নামী হতে চাই(?) তাহলে আল্লাহর কাছে পানা চাই জাহান্নাম থেকে তিনি যেনো আমাদেরকে ও আমদের পরিবারকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করেন। আমিন।

লেখাটি পড়া হলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।শেয়ার করার সময় আমার সাইডের লিংটি দিয়ে দিবেন।

ইসলামিক সফটওয়্যার – মাকতাবা শামিলা

Image মাকতাবা শামিলা কী? 

মাকতাবা শামিলা একটি সুসমৃদ্ধ ও সুবিশাল ডিজিটাল গ্রন্থগার। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক দাওয়া-সহায়তা সংস্থা আল-মাকতাব আত-তাআউনী লিদ-দাওয়া বির-রওযা স্পন্সরকৃত স্থায়ী সাদাকা হিসেবে মুক্ত, সহজলভ্য ও সুবিধাপূর্ণ একটি গ্রন্থগার সফটওয়্যার। গবেষক ও জ্ঞানান্বেষণেচ্ছুদের জন্য ইসলামি জ্ঞান-সম্পদকে সার্বজনীনভাবে উন্মুক্ত করে দেওয়াই এই গ্রন্থগারের উদ্দেশ্য। তবে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের মতাদর্শ-পরিপন্থী কোনো ক্ষেত্রে এর ব্যবহার অনুমোদিত নয়।

Image

মাকতাবা শামিলার বৈশিষ্ট্যarrowpin

  • এটি সহজলভ্য ও বিনামূল্যে পাওয়া যায়,
  • এটি মুক্ত, ব্যবহারকারীর জন্য সম্পাদনা উপযোগী এবং সবধরনের টেক্স ফাইল গ্রহণ করে।
  • উন্নত সার্চ-সমৃদ্ধ ও ব্যবহার-বান্ধব।
  • এতে আছে কুরআন, তাফসীর, হাদীস, শুরুহুল হাদীস (হাদীসের ব্যাখ্যা), ফিকহ, উসূলে ফিকহ, ফাতাওয়া, উলূমুল হাদীস, ইতিহাস, ভূগোল, জীবনীসহ প্রায় সকল প্রামাণ্য গ্রন্থ।

Image

অফিসিয়াল সংস্করণ (৬১১১টি কিতাবসমৃদ্ধ) ডাউনলোড (সাইজ: ২ জিবি)

LAonX

আইএস ফাইল

টরেন্ট যোগে ডাউনলোড

ডাউনলোড (একক ফাইল)

ডাউনলোড (খণ্ড ফাইল)

সফটওয়্যার সংস্করণ (কিতাববিহীন) ডাউনলোড (সাইজ: ২০ এমবি)

৩.৫২ ভার্সন

ব্যবহারবিধি

  • প্রথমে উপর্যুক্ত যেকোনো উপায়ে ফাইলসমূহ ডাউনলোড করে নিন।
  • অতঃপর 7-zip বা অনুরূপ কোনো সফটওয়্যার দ্বারা সঙ্কোচিত ফাইলসমূহ খুলুন, দেখতে এমনটিই ফাইলসমূহ পাবেন:

folder

সংগ্রহ: কোরানের আলো ডট কম

জানার মাঝে অনেক অজানা……..

Image

‘’শেখ আবদুল ওয়াহেদ নামে একজন বিখ্যাত সুফি ছিলেন। কথিত আছে, চল্লিশ বৎসর যাবৎ তিনি এশার অযু দ্বারা ফজরের নামাজ পড়িয়াছেন।‘’ (ফাজায়েলে আমল; ফাজায়েলে নামাজ; তাবলিগী কুতুবখানা সংশোধিত সংস্করন; ১২ মার্চ ১৯৯০ ইংরেজি; পৃষ্ঠা নঃ ৯২) 

অনেকে এইরখম অনেক বুজুর্গি কাহিনি বর্ণনা করে বলে থাকে যে, অমুক বুজুর্গ/অলি/ইমাম ইত্যাদি ৪০,৬০,৯০ বৎসর এক অজুতে সালাত আদায় করাছে। আসুন দেখি রাসুল (সা) কি বলেন?  

আনাস (রা) বলেন যে, তিন ব্যক্তি নবী (সা) এর স্ত্রীদের বাসায় এলেন। তাঁরা নবী (সা) এর ইবাদত সম্পর্কে জিঞ্জাসা করলেন। অত:পর যখন তাঁদেরকে এর সংবাদ দেওয়া হল তখন তাঁরা যেন তা অল্প মনে করলেন এবং বললেন,‘আমাদের সঙ্গে নবী (সা) এর তুলনা কোথায়? তাঁর তো আগের ও পরের সমস্ত গোনাহ মোচন ক’রে দেওয়া হয়েছে। (সেহেতু আমাদের তাঁর চেয়ে বেশী ইবাদত করা প্রয়োজন)।’ সুতরাং তাঁদের মধ্যে একজন বললেন, ‘আমি সারা জীবন রাতভর নামায পড়ব।’ দ্বিতীয়জন বললেন, ‘আমি সারা জীবন রোযা রাখব, কখনো রোযা ছাড়ব না।’ তৃতীয়জন বললেন, ‘আমি নারী থেকে দূরে থাকব, জীবনভর বিয়েই করব না।’ অত:পর রাসূলুল্লাহ (সা) তাঁদের নিকট এলেন এবং বললেন, “তোমরা এই এই কথা বলেছ? শোনো! আল্লাহর কসম! আমি তোমাদের চেয়ে বেশী আল্লাহকে ভয় করি, তার ভয় অন্তরে তোমাদের চেয়ে বেশী রাখি। কিন্তু আমি (নফল) রোযা রাখ এবং রোযা ছেড়েও দিই, নামায পড়ি এবং নিদ্রাও যাই। আর নারীদের বিয়েও করি। সুতরাং যে আমার সুন্নত হতে মুখ ফিরিয়ে নিবে, সে আমার দলভুক্ত নয়।”
( সহীহুল বুখারী ৫০৬৩,মুসলিম ১৪০১, নাসায়ী ৩২১৭, আহমাদ ১৩১২২, ১৩০১৬, ১৩৬৩১)

এখানে একজন সাহাবা (রা) বলেছেন যে ”তিনি আজীবন রাতভর নামাজ পড়বেন” তার উত্তরে রসুল (সা) বলেছেন, “আমি নামায পড়ি এবং নিদ্রাও যাই “ সুতরাং যে আমার সুন্নত হতে মুখ ফিরিয়ে নিবে, সে আমার দলভুক্ত নয়।”

এখানে রসুল (সা) অথবা কোনও সাহাবা (রা) জদি সারা রাত নামাজ পড়তেন তাহলে এটি মানা যেত কিন্তু তিনি তার সুন্নতকে ছেড়েদেয়া ব্যাক্তি সম্মন্ধ্যে বলেছেন যে “সে আমার দলভুক্ত না” 

এখন এই বুজুর্গরা কি রাসুল (সা), সাহাবা (রা) দের চেয়েও আল্লাহর কাছে বেশি

প্রিয়????বেশি ইবাদত গুজার???? বেশি আল্লাহ ভক্ত???? বেশি ভাল???? 

কেউ যদি মনে করেন তাহলে তিনি মানতে পারেন কিন্তু আমি তার বিপরিত। কেননা রসুল (সা) বলেছেন, আল্লাহর কসম! আমি তোমাদের চেয়ে বেশী আল্লাহকে ভয় করি, তার ভয় অন্তরে তোমাদের চেয়ে বেশী রাখি।” 

আয়েশা (রা) হতে বর্নিত, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেন, যখন নামায পড়া অবস্থায় তোমাদের কারো তন্দ্রা আসবে, তখন তাকে ঘুমিয়ে যাওয়া উচিত, যতক্ষন না তার ঘুম চলে যাবে। কারন, তোমাদের কেউ যদি তন্দ্রা অবস্থায় নামায পড়ে, তাহলে সে অনুভব করতে পারবে না যে, সম্ভবত: সে ক্ষমা প্রার্থনা করতে গিয়ে প্রকৃতপক্ষে নিজেকে গালি দিচ্ছে। 
(সহীহুল বুখারী ২১২, মুসলিম ৪৮৬, তিরমিযী ৩৫৫. নাসায়ী ১৬২, আবু দাউদ ১৩১০, ইবনু মাজাহ ১৩৭০, আহমাদ ২৩৭৬৬, ২৫১৩৩, ২৫১৭১, ২৫৬৯৯, মুয়াত্তা মালেক-২২৫৯, দারেমী ১৩৮৩)

হে দ্বীনি ভাই, তাই এই সকল বানোয়াট কিসছছা কাহিনি থেকে আমাদের সাবধান থাকতে হবে।

এখন আসেন দ্বিতীয় বিষয়ঃ 

এই সহিহ হাদিস থাকার পরও অনেকে এই বিষয় টিকে সঠিক সাব্বস্ত করার জন্য কোরআন হাদিস থেকে পাইতারা করেন তারা বলেন “আল্লাহ ইচ্ছা করলে হতেও পারে” 

ঠিক এই ধরনের কথাও কাদিয়ানি/ ভণ্ড নবি দাবিদার রাও করে।

কি ভাবে তা বলছি, তারা বলে দেখেন আল্লাহ বলেছেন, ”ইন্নালহা আলা কুল্লি সইইন কাদির” অর্থ: নিশ্চই আল্লাহ সব বিষয়ে সর্বচ্চ ক্ষমতাবান এবং সে কোরআনের কোন কোন সুরায় কোন আয়াতে, আয়াত সংখ্যা কত, কতবার বলা হয়েছে সব বলবে।

এখন আপনাকে বলবে বলেনতো তাহলে ”আল্লাহর কি ক্ষমতা নাই একজন নতুন নবী পাঠানোর?”

এখন আপনি কোন দিকে যাবেন? যদি বলেন যে ক্ষমতা নাই তাহলে ক্ষমতা অস্বিকার করার কারনে কাফের হয়ে যাবেন
আবার যদি বলেন যে হ্যা ক্ষমতা বান তাহলে কাদিয়ানি নবীকে বিশ্বাস করতে হবে তাতেও আপনি কাফের হয়ে জাবেন। 

 অপব্যখ্যার লেটেস্ট সংস্করন

ঠিক একই ভাবে এনারা বলছেন “আল্লাহ ইচ্ছা করলে হতেও পারে” আল্লাহ কি পারেন না

এখন আপনি কোন দিকে জাবেন তা আপনার উপর ছেড়ে দিলাম। সেই বুজুর্গ এর ৪০,৬০,৯০ বছর এক উজুতে সালাত পরা মানবেন নাকি রাসুল (সা) এর সাহিহ হাদিস মানবেন। কেননা রসুল (সা) বলেছেন, “আমি নামায পড়ি এবং নিদ্রাও যাই “ সুতরাং যে আমার সুন্নত হতে মুখ ফিরিয়ে নিবে, সে আমার দলভুক্ত নয়।”

এই হল ইলিয়াসি তাবলীগ জামাত। 

হে মুসলিম ভাই আপনি কোথায় ফিরে চলছেন???একবার

ভাবুন??? 

আবূ হুরাইরাহ (রা) হতে বর্নিত, নবী (সা) বলেন, “নিশ্চয় দ্বীন সহজ। যে ব্যক্তি অহেতুক দ্বীনকে কঠিন বানাবে, তার উপর দ্বীন জয়ী হয়ে যাবে। (অর্থাৎ মানুষ পরাজিত হয়ে আমল ছেড়ে দিবে।) সুতরাং তোমরা সোজা পথে থাক এবং (ইবাদতে) মধ্যমপন্থা অবলম্বন কর। তোমরা সুসংবাদ নাও। আর সকাল-সন্ধ্যা ও রাতের কিছু অংশ ইবাদত করার মাধ্যমে সাহায্য নাও
(সহীহুল বুখারী ৩৯, ৫৬৭৩, ৬৪৬৩, মুসলিম ২৮১৬, নাসয়ী ৫০৩৪, ইবনু মাজাহ ৪২০১, আহমাদ ৭১৬২, ৭৪৩০, ৭৫৩৩, ২৭৪৭০)

আল্লাহ আমাদেরকে বোঝার মত তাওফিক দিন আমিন।

তারাবীহ ৮ রাকাত, কোন ক্রমেই তা ২০ রাকাত নয়।

সালাতের সম্পূর্ন নিয়ম (আরবী দোয়া ছাড়া)

সালাতে বুকে হাত বাঁধা

সালাতের প্রতি রাকাতে সুরা ফাতেহা পড়া

কিছু প্রশ্ন ও তার উত্তর….শায়খ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রহ)

Image

প্রশ্নঃ তাসবীহ্‌ দানা দারা তাসবীহ্‌ পড়ার বিধান কি?

 

উত্তরঃ তাসবীহ্‌ দানা ব্যাবহার করা জায়েয। তবে উত্তম হচ্ছে, হাতের আঙ্গুল ও আঙ্গুলের কড় ব্যাবহার করা।

কেননা রসুল (সা) বলেন,

আঙ্গুল দারা তাসবীহ্‌ গননা কর। কেননা (কিয়ামত দিবসে) এগুলো জিজ্ঞাসিত হবে এবং এগুলোকে কথা বলানো হবে (মুসনাদে আহমাদ, আবুদাউদ, তিরমিযি অধ্যায়ঃ দুআ অনুচ্ছেদঃ তাসবীহ্‌ পাঠ করার ফযীলত)

তাছাড়া তাসবীহ্‌র ছরা হাতে নিয়ে থাকলে রিয়া বা লোক দেখানো ভাবের উদ্রেক হতে পারে। আর যারা তাসবীহ্‌র ছড়া ব্যাবহার করে সাধারনতঃ তাদের অনৱর উপসি’ত থাকে না। এদিক ওদিক তাকায়। সুতরাং আংগুল ব্যাবহার করাই উত্তম ও সুন্নাত।

[ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম, শায়খ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রহ) ফাতাওয়া নং ২৬০]

Image

প্রশ্নঃ  সালাতের পর হাত উত্তলন করে দুআ করার বিধান কি?

 

উত্তরঃ সালাতের শেষে হাত তুলে দুআ করা শরীয়ত সম্মত নয়। দুআ করতে চাইলে সালাতের মধ্যে  দুআ করা উত্তম। একারণে ইবনে মাসউদ (রা) বর্ণিত তাশাহুদ শিক্ষার হাদিসে নবী (সা) নির্দেশ দিয়েছেনঃ তারপর ইচ্ছামত যে কোন দুআ পাঠ করবে (বুখারী, আযান অধ্যায়, তাশাহুদের পর ইচ্ছা-স্বাধীন দুআ করা)

সাধারণ মানুষ অনেকেই ফরজ বা সুন্নাত যে কোন সালাতে হাত তুলে দুআ আরম্ভ করে। এমনকি এদের অধিকাংশ এ কাজ কখনই পরিত্যাগ করে না***

অনেক লোক এমন দেখবেন ফরজ সালাত শুরু হয়ে যাচ্ছে আর সে সুন্নাত নামাযের তাশাহুদে বসে আছে। সালাম ফেরানো হলেই হাত উঠাবে কিছু বলল কি না আল্লাহই জানেন আবার হাত মুখে মুছে ফেলবে। মনে করে সালাত শেষ করে হাত দুটো না উঠালে যেন সালাতটি সুন্দর হল না।

[ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম, শায়খ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রহ) ফাতাওয়া নং ২৬২]

*** অথচ নবী (সা) থেকে সালাতে সালামের পরে সম্মিলিত ভাবে হাত উঠিয়ে দুআ করার ব্যাপারে কোন সহিহ হাদিস পাওয়া যায় না। সাহাবী (রা) তাবেঈ (রহ) দের যুগেও এর সহিহ সনদ ভিত্তিক কোন প্রমান মিলেনা। এমনকি নবীজি খেকে সহিহ তো দুরের কথা কোন যঈফ বর্ণনাও পাওয়া যায় না। তাই একাজ সমপূর্ণ সু্‌ন্নাত বিরোধী বা বিদআত। যা পরিত্যাগ করা প্রত্যেক মুসলিমের উপর ফরজ। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বর্তমানে মুসলমানগন এই বিদআতটিকে একটি সুন্নাত তো বটেই বরং ফরজের মতোই মনে করে। যার কারনে দেখা দেখবেন, যদি আপনি ফরজ সালাতের শেষে রসুল (সা) এর পঠিতব্য সহিহ হাদিছে প্রমানিত দুআ যিকিরে মশগুল হন, ওদের সাথে বিদআতি মুনাজাতে শরীক না হন, তবে অন্যান্য মুছল্লীরা আপনার প্রতি বাকা নজরে দেখবে, যেন আপনি মসৱবড় একটি অপরাধ করেছেন! আর ইমাম সাহেব যদি কখনো এই মুনাজাত ছেড়ে দেয় তবে অনেক ক্ষেত্রে  তার চাকুরী নিয়ে টানাটানি শুরু হয়ে যায়।

Image

প্রশ্নঃ ফরজ সালাত শেষে সমস্বরে (সম্মিলিত ভাবে) সুরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসী প্রভৃতি পাঠ করার বিধান কি?

 

উত্তরঃ সালাতান্তেসকলে মিলে সমস্বরে সুরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসী বা অন্যান্য যিকির করা বিদআত*** কেননা নবী (সা) এবং সাহাবীদের (রা) থেকে যেটা প্রমানিত হয়েছে, তারা ফরজ সালাত শেষ করে কিছুটা উচু আওয়াযে যিকির পাঠ করতেন। কিনতু তারা প্রত্যেকে ভিন্ন ভিন্নভাবে পাঠ করতেন। সমস্বরে নয়। অতএব ফরজ সালাতানেৱ উচু কন্ঠে যিকির করা সহিহ সুন্নাহ দ্বারা প্রমানিত।

আব্দুল্‌লাহ বিন আব্বাস (রা) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, নবী (সা) এর যুগে লোকেরা ফরজ সালাত শেষ করলে উচু কন্ঠে যিকির পাঠ করতেন। ইবনু আব্বাস (রা) বলেন, উচু কন্ঠে যিকির শুনলে আমি বুঝতাম লোকেরা সালাত শেষ করেছেন (বুখারী, সালাতের পর যিকির, মুসলিম, সালাতের পরে যেসকল যিকির মুসৱাহাব)

কিনতু সালাতের পর উচু কন্ঠে বা নিচু কন্ঠে সুরা ফাতিহা পাট করার ব্যাপারে নবী (সা) হতে কোন হাদিস আমি জানি না। তবে সহিহ হাদিসে প্রমানিত হয়েছে আয়াতুল কুরসী, ও মুআব্বেযাতাইন (সুরা ফালাক,নাস) পাঠ করতেন। (আবু দাউদ, নাসাঈ)

[ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম, শায়খ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রহ) ফাতাওয়া নং ২৬৩]

***এই ফাতাওয়াটি টাইপ করার সময় একটা কথা মনে পড়ল। যা সবার সাথে শেয়ার করা জরুরী মনে করলাম।

ইমাম তিরমিজি (রহ) একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন, হাদিসটি হল সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত নিয়ে।

মালিক ইবনু ইয়াসার (রা)হতে বর্ণিত আছে, রসুল (সা) বলেন, যে ব্যাক্তি সকালে উপসি’ত হয়ে বলবে,”আউযুবিল্লাহিস সামিঈল আলিম মিমিনাশ শাইতানির রাজিম” তারপর সুরা আল হাশরের শেষ তিন আয়াত পাঠ করবে, আল্লাহ তাআলা তার জন্য সত্তর হাজার ফিরিসৱা নিযুক্ত করবেন । তারা সন্ধ্যা পর্যন্ত তার জন্য দুআ করতে থাকবেন। সে ঔদিন ইন্তিকাল করলে তার শহীদী মৃত্যু হবে । যে ব্যাক্তি সন্ধ্যায় এরূপ পাঠ করবে সেও এরখম গৌরবের অধীকারী হবে।

ইমাম তিরমিজি এই হাদিসটি বর্ণনা করার পর বলেনঃ এ হাদিসটি গারিব। আমরা শুধু মাত্র উপরিউক্ত সূত্রে এ হাদিস জেনেছি।

নাসিরুদ্দিন আলবানি বলেনঃ হাদিসটি যইফ। তালীকুর রাগীব (২/২২৫) (বিস্তারিত  দেখুন যইফ আত তিরমিজি ২য় খন্ড, নাসিরুদ্দিন  আলবানি হা/ ২৯২২)

প্রথমতঃ হাদিসটি যঈফ তা প্রমানিত,তাই এই হাদিসের উপর আমল করা যাবে না।(ইমাম মুসলিম এর সর্ত অনুসারে)

দ্বীতিয়তঃ  অথচ আমাদের দেশের প্রায় সকল মসজিদে ফজরের ফরজ সালাত শেষে ইমাম সাহেব জোরে জোরে সুারা হাশরের শেষ তিন আয়াত পড়েন আর তার সাথে মুক্তাদিরাও পড়ে থাকে। এটি সমপূর্ণ একটি নতুন আবিস্কার/কাজ যাকে বিদআত বলে। কারণ এভাবে সম্মিলিত ভাবে পড়ার সহিহ কোন রেওয়ায়েত নাই  এমনকি যঈফ ও জাল রেওয়ায়েত নাই (উপরের ফাতাওয়া থেকে জানা যায়)। যেহুতু সওয়াবের আশায় করা হয় তাই এটি বিদআত না হয়ে পারে না। কেননা এটি প্রমানিত নয়। আবার কোন কোন মসজিদে দেখা যায় ইমাম সাহেব না পড়লে তার উপর মুছল্লিরা নাখোশ (মনখারাপ) হয়ে থাকে ফলে একসময় সেই ইমামের চাকুরী রাখা রড় দায় হয়ে যায়। তাই দ্বীনের ভিতর এই নব আবিস্কার থেকে আমাদের বেচে থাকতে হবে।

আল্লাহ আমাদেরকে বুঝার তওফিক দিন। আমিন।

ঈদে মীলাদুন্নবী (শরীয়তের দৃষ্টিতে কতটুকু শুদ্ধ?)

কুরআন-সুন্নাহ আমার জান্নাতের পথ

ঈদে মীলাদুন্নবী (শরীয়তের দৃষ্টিতে কতটুকু শুদ্ধ?)

ঈদে মীলাদুন্নবী (কতটুকু শুদ্ধ?) ডাউনলোড -ওয়ার্ড ফাইল

কয়েক বছর পূর্বে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার এক মসজিদে উপস্থিত হলাম প্রতিদিনের মত এশার নামাজ আদায় করতে। দেখলাম আজ মসজিদ কানায় কানায় পূর্ণ। অন্য দিনের চেয়ে কম হলেও মুসল্লীদের সংখ্যা দশগুণ বেশী। সাধারণত এ দৃশ্য চোখে পড়ে রমজান ও শবেকদরে। মনে করলাম হয়তো আজ কারো বিবাহ অনুষ্ঠান কিংবা জানাযা। এত লোক সমাগমের কারণ জিজ্ঞেস করলাম ইমাম সাহেবকে। তিনি বললেন আজ ১২ই রবিউল আউয়ালের রাত। মীলাদুন্নবীর উৎসবের রাত।
সম্মানিত পাঠক!
এ রাত ও পরবর্তী দিন ১২ ই রবিউল আউয়াল অত্যন্ত জাকজমকপূর্ণভাবে এক সময় পালিত হত বৃহত্তর চট্রগ্রাম, নোয়াখালী,ও সিলেটের কিছু অঞ্চলে। দেশের অন্যান্য এলাকায়ও পালিত হত তবে তুলনামুলক কম গুরুত্বে । এ রাতে খাওয়া-দাওয়া,আনন্দ উৎসবে মুখর হয়ে উঠে অনেক পাড়া-মহল্লা। যারা এটা পালন করে তাদের উৎসব মুখরতা দেখলে মনে হবে নিশ্চয়ই এটা হবে মুসলিমদের সবচেয়ে বড় উৎসবের দিন। আর এটা তাদের অনেকে বিশ্বাসও করে। তাইতো শ্লোগান দেয়, দেয়ালে…

View original post 2,893 more words