দান করুন, আমাদের সাথী হউন। সদকা সম্পদ হ্রাস করে না।

আসসালামু আলাইকুম, সম্মানিত দ্বীনি বাংলাদেশী ও প্রবাসী ভাই ও বোন। 

  • আলহামদুলিল্লাহ! আমরা সেই 2012 সাল থেকে এই সাইডের মাধ্যমে এবং আমাদের ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে অনলাইন ও ফিল্ডে অফলাইন দাওয়াতি কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের দাওয়াতি কাজের প্রসারতা আলহামদুলিল্লাহ আগের থেকে অনেকগুন বেরে গিয়েছে।
  • নতুন টেকনোলজি, ভিডিওর ইন্সট্রুমেন্ট, অফিস, এমপ্লোয়ী সব মিলিয়ে আমাদের খরচ আলহামদুলিল্লাহ বেরে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় আমরা চাই আমাদের এই দাওয়ার কাজে আপনারাও অংশগ্রহন করুন। অনেকের দাওয়ার কাজ করার ইচ্ছা আছে কিন্তু সময় হয়ে ওঠেনা বিভিন্ন কারনে।
  • ইনশাআল্লাহ আমাদের সাথে আপনারা দানের মাধ্যেমে যোগ দিতে পারেন। আমরা ইনশাআল্লাহ সঠিক ভাবে আপনাদের দানের যথাযথ দাওয়ার কাজে ব্যাবহার করবো।

রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াস সাল্লাম বলেন:

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ قَالَ اللَّهُ أَنْفِقْ يَا ابْنَ آدَمَ أُنْفِقْ عَلَيْكَ. صحيح البخاري
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আল্লাহ তাআলা বলেন, ব্যয় কর হে আদম সন্তান! তোমার উপরও ব্যয় করা হবে।

(সহিহ বোখারি)

রসুলুল্লাহ সালাল্লাহু আলাইহি ওয়াস সাল্লাম বলেন:

رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَا نَقَصَتْ صَدَقَةٌ مِنْ مَالٍ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, সদকা সম্পদ হ্রাস করে না।

(সহিহ মুসলিম)

আমাদের বৈশিষ্ট হচ্ছে, আমরা দান করি কিন্তু প্রচার করি না। এর একটি ছোট উদাহরন দেখুন। (আমরা চাইনা দেখাতে কিন্তু বিশ্বস্ততা বাড়ানোর জন্য সামান্য একটু দেখাচ্ছি, আল্লাহর নিকট রিয়া থেকে ক্ষমা চাই)

দানকরি প্রচার করি না

নিচের একাউন্ট নাম্বারে আমাদেরকে দান করুন ইনশাআল্লাহ। 

ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার: 1821030053438 

ব্যাংকের নাম: ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড।

Donetion pic

আমাদের ফেসবুক পেইজ: SLFxTalk (SALAF Talk) 

আমাদের ইউটিউব চ্যানেল: SLFx Talk (SALAF Talk)

যেকোন প্রশ্ন বা আরও বিস্তারিত জানতে চাইলে আমাদের ফেসবুক পেইজে ইনবক্স করুন ইনশাআল্লাহ।

If you have any Questions and Query Please feel free to knock us in our FB page Inbox.

#দান #সদাকা #সদকা #Contribution #Donation #Sadaka

আল্লাহ্ তা’আলা সম্পর্কে অজ্ঞতাবশত কথা বলা

 

মুসলিম স্পেনের বিখ্যাত স্কলার ও তফসীরকার আল কুরতুবী, তাঁর তাফসীরে, যেসব লোক কুরআন পড়তে গিয়ে বলে ‘আমার মনে হয়’, ‘আমার মন বলে’ অথবা ‘আমার মতে’ সে সব লোক সম্পর্কে বলেন যে, তারা আসলে আল্লাহ সম্পর্কে না জেনে কথা বলে এবং এটা একটা অন্যতম বড় অপরাধ। এবং এরা প্রকৃতপক্ষে যিনদিক এবং [তাদের অপরাধের গুরুত্ব বোঝাতে] তিনি বলেন যে, এদের মুরতাদ হিসেবে হত্যা করা উচিত।

যখন কেউ কুরআনের আয়াত আবৃত্তি করে এবং যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ না করে এবং যথাযথ জ্ঞান ব্যতীত ঐ আয়াতের ব্যাখ্যা করে, সে হয়তো তার নিজের ‘হাওয়া’র অনুসরণ করে (হঠাৎ একটা কিছু মনে হল, ভাল মন্দ বিচার না করেই সেটার অনুসরণ করা), অথবা নিজের বাসনার বশবর্তী হয়, অথবা সে হয়তো শয়তানের দ্বারা পরিচালিত হয়, নয়তো সে নিজের অনুমানের উপর নির্ভর করে; যেটার (অনুমানের ভিত্তিতে কথা বলা) সম্পর্কে আল্লাহ তা’আলা কুরআনে বহুবার উল্লেখ করেছেন,

অথবা তার মনে প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার পক্ষ থেকে ইলহাম হতে পারে, কিন্তু এই শেষোক্ত সম্ভাবনাটি অত্যন্ত ক্ষীণ। কেন? কেননা এক্ষেত্রে কুরআনের ব্যাখ্যা করার ক্ষেত্রে সঠিক পদ্ধতির অনুসরণ করা হয়নি, এবং যেহেতু সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিটি তাফসীরের যথার্থ পদ্ধতি অবলম্বন না করেই তাফসীর করেছে, অতএব সে ইতিমধ্যেই একটি অপরাধ করে ফেলেছে। যথার্থ জ্ঞান ব্যতীত কুরআন সম্পর্কে কথা বলে এবং সঠিক জ্ঞান, প্রশিক্ষণ এবং যোগ্যতা ছাড়াই এর ব্যাখ্যা দান করে, সে ইতিমধ্যেই একটি বড় অপরাধ করেছে, তাই এর সম্ভাবনা খুবই কম যে, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা একটা ‘অপরাধের’ মধ্য দিয়ে তাকে অনুগ্রহ করবেন ও কুরআনের সঠিক ব্যাখ্যা তাকে শিক্ষাদান করবেন। যখন কেউ বলে যে, অমুক আয়াতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা এটা বোঝাতে চেয়েছেন কিংবা ওটা বলতে চেয়েছেন, তখন সে প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলার পক্ষে কথা বলছে এবং সে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা সম্পর্কে বলছে, আর তাই সেটা যদি সে প্রয়োজনীয় জ্ঞান ব্যতীত করে, তাহলে সে অত্যন্ত গর্হিত একটি কাজ করছে।

ইবনুল কায়্যিম এটাকে প্রকৃতপক্ষে ‘সবচেয়ে গুরুতর’ পাপকাজ বলে অভিহিত করেছেন, তিনি বলেছেন না জেনেই আল্লাহ সম্পর্কে কোন কথা বলা সবচেয়ে গুরুতর অপরাধ। এ সম্পর্কে কুরআনের উদ্ধৃতি : “বল, যেসব বস্তু আমার প্রতিপালক নিষেধ করেছেন তা হলো আল ফাওয়াহিশা (গুরুতর মন্দ কাজ, আইন বহির্ভূত যৌন সম্পর্ক) প্রকাশ্যে বা গোপনে ঘটিত, অপরাধ ও অত্যাচার, শিরক এবং আল্লাহ সম্পর্কে না জেনে কিছু বলা”। (কুর’আন, ৭: ৩৩)

এ আয়াতের ব্যখ্যায় তিনি বলেছেন যে, দুই ধরনের হারাম কাজ রয়েছে। হারাম লি যাতিহী, হারাম লিগাইরিহী। প্রথম শ্রেণীর (হারাম লি যাতিহী) কাজগুলোকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এদের নিজস্ব অশুভ প্রকৃতির জন্য, দ্বিতীয় শ্রেণীর (হারাম লিগাইরিহী) কাজগুলোকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, কেননা সেগুলো অন্য কোন পাপের দিকে মানুষকে নিয়ে যায়। তিনি এই আয়াতে উল্লেখিত চার ধরনের কাজকে প্রথম গোত্রের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এই চার ধরনের কাজের মধ্যে আল ফাওয়াহিশা কম গুরুতর হারাম কাজ, এরপর সত্যের অবলেপন যা পূর্বের চেয়ে গুরুতর, অতঃপর আল্লাহ শিরকের কথা বলেছেন এবং সবশেষে বলেছেন আল্লাহ্ সম্পর্কে না জেনে কথা বলাকে। তিনি বলেছেন যে, আল্লাহ তা’আলা ছোট থেকে বড় গুনাহের কথা পর্যায়ক্রমে বলেছেন। তিনি বলেন, যখন কেউ আল্লাহ সম্পর্কে না জেনে কথা বলে, যা কিনা কেউ কুরআন সম্পর্কিত জ্ঞানার্জন না করে ও সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন না করে কুরআনের তাফসীর করতে গিয়ে করে থাকে, তাতে এমন কতগুলি গুনাহ্ অন্তর্ভূক্ত হয়ে যায়, যা কিনা “কেবল শিরক”-এর ক্ষেত্রে হয় না। গুনাহগুলো হলো —

১. কোন আয়াতের অসত্যভাবে উপস্থাপন।
২. আল্লাহ তা’আলার মনোনীত ধর্মের পরিবর্তন।
৩. এমন কিছু অস্বীকার করা যা আল্লাহ তা’আলা বর্ণনা করেছেন।
৪. এমন কিছু স্বীকার করা যা আল্লাহ তা’আলা অস্বীকার করেছেন।
৫. কোন মিথ্যাকে সত্য বলে উপস্থাপন।
৬. কোন সত্যকে মিথ্যা বলে উপস্থাপন।
৭. এমন কিছু সমর্থন করা যা আল্লাহ তা’আলা অপছন্দ করেন।
৮. এমন কিছু পছন্দ করা যা আল্লাহ অপছন্দ করেন।

অন্য কথায়, যখন ধর্ম সম্পর্কে না জেনে কেউ কিছু বলে, সে ধর্মকে পরিবর্তন করে। প্রকৃতপে ‘মাদারিজ উস সালিকীন’ বইতে তাঁর (ইবনুল কায়্যিম) লেখা পড়তে থাকলে দেখা যাবে যে, সব ধরনের কুফরী ও শিরকের মূল উৎস হচ্ছে এই অজ্ঞতা।

তিনি উদাহরণস্বরূপ বহু-ঈশ্বরবাদীদের কথা উল্লেখ করেছেন। তারা বলে থাকে যে, তারা যাদের পূজা করে, তারা তাদেরকে আল্লাহর নিকটবর্তী করবে। সুতরাং তাদের শিরকের উৎস হচ্ছে, আল্লাহ তা’আলা সম্পর্কে অজ্ঞতা। তেমনিভাবে বর্তমানে সবচেয়ে বড় কুফরী হচ্ছে ধর্মনিরপেতা – মুসলমানদের এবং বিশেষত অমুসলিমদের মাঝে যা প্রায় সর্বজনস্বীকৃত ও গ্রহণযোগ্য জীবন-পদ্ধতি। তারা বলে যে, আল্লাহ পার্থিব জীবনের কর্মকাণ্ডকে গুরুত্ব দেন না বা তিনি আমাদের পার্থিব জীবনে সঠিক দিক নির্দেশনা দেননি। অথবা, ধর্ম দৈনন্দিন জীবনের জন্য নয়। এসব তারা না জেনে বলে থাকে।

সুতরাং, এটা একটা অন্যতম গুরুতর অপরাধ এবং ইবনুল কাইয়্যিম বলেন, এটা সবচেয়ে বড় অপরাধ। এবং তিনি বলেছেন যে, প্রত্যেক বিদাত, প্রত্যেক নতুন প্রথা কিছু বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে যা কুরআন ও হাদীস দ্বারা সমর্থিত নয়।

যদি কেউ বলে যে, আমি ধার্মিক, আমি বিশ্বাসী, আমি কুরআন পড়ে এর অর্থ বুঝতে পারি — এ কথা শুধুমাত্র মহানবী (সা.)-এর সাহাবাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হতে পারে। কেননা:

১. তাঁরা কুরআনের অবতীর্ণ হওয়া প্রত্যক্ষ করেছেন।
২. তাঁরা, তা যে প্রসঙ্গে অবতীর্ণ হয়েছে তার সাক্ষী এবং তাঁদের জীবনেই সে সব প্রাসঙ্গিক ব্যাপারগুলো ঘটেছে।
৩. কুরআন তাঁদের ভাষায় অবতীর্ণ হয়েছে।
৪. আল্লাহ তা’আলা তাঁদেরকে মহানবী (সা.)-এঁর সাথী হিসেবে মনোনীত করেছেন।
৫. তিনি তাঁদেরকে সর্বোত্তম উম্মত হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন।

তাই কেউ যদি নিজেকে সাহাবাদের মত এমন পবিত্র হৃদয় ও আল্লাহ তা’আলার ঘনিষ্ঠ মনে করে, তবে সে ব্যাখ্যা নিজের মত করে দিতে পারে। কিন্তু আমরা যদি সাহাবীদের জীবনীর দিকে তাকাই, তাহলে এর বিপরীতটাই দেখব। তাঁরা রাসূলুল্লাহ (সা.)-এঁর কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলেন যে, যথাযথ জ্ঞানার্জন না করে পবিত্র কুরআন সম্পর্কে মন্তব্য করা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।

উদাহরণস্বরূপ, আবুবকর (রা.) একদা বলেছেন, “যদি আমি কুর’আন সম্পর্কে এমন কিছু বলি যা আমি জানি না, তাহলে কোন মাটি আমাকে বসবাসের জায়গা দেবে, কোন আকাশ ছায়া দেবে?” উমর ইবনে খাত্তাব (রা.) বলেছেন“ধর্মীয় ব্যাপারে তোমার মত প্রদানের ক্ষেত্রে সতর্ক হও।” ইবনে আব্বাস, যাঁর সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সা.) দু’আ করেছিলেন যে, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা যেন তাঁকে কুর’আন ও দ্বীনের বুঝ দান করেন, তিনি বলেছেন,“অনুসরণ করার মত যা কিছু আছে, তা হল আল্লাহ তা’আলার কুরআন ও রাসূলের হাদীস। এই দুইটি থাকার পরও কেউ নিজের মতামত দিলে, আমি জানি না এটা তার ভাল না খারাপ কাজের অন্তর্ভুক্ত হবে।” অর্থাৎ, তুমি যা করেছ, তা তুমি ভাল মনে করে করলেও এটা অবশেষে গুনাহর অন্তর্ভুক্ত হবে। তিরমিযী বলেছেন : “পণ্ডিতগণ এবং আল্লাহর রাসূলের (সা.) সাহাবাদের থেকে বর্ণিত আছে যে, কুরআন সম্পর্কে না জেনে কথা বলার ব্যাপারে তাঁরা অত্যন্ত কঠোর ছিলেন। ”

তাই আমদের উচিৎ আল্লাহ, কুরআন, বা ইসলাম সম্পর্কে কিছু বলার আগে বিস্তারিত জ্ঞান অর্জন করে কথা বলা। তা না হলে এর পরিণতি খুবই ভয়াবহ।

কুরানের কিছু আয়াহ ও সূরা তিলওয়াত করার ফযিলত ।

images (3) 

১) মসজিদে গিয়ে একটি আয়াহ শিক্ষা করা বা মুখস্থ করা একটি বড় আকারের উট লাভ করার চেয়েও উত্তম।“মুসলিম”।
২) মর্যাদার সবচেয়ে বড় সূরা হল “সুরাতুল ফাতিহা”।“বুখারি”।
৩) যে ঘড়ে “সূরা বাকারা” পড়া হয় সেই ঘড়ে শয়তান প্রবেশ করেনা।“মুসলিম”।
৪) রাতে “সূরা বাকারার” শেষ দুই আয়াহ পাঠ করলে, তা সব কিছু হতে যথেষ্ট হয়।“বুখারি ও মুসলিম”।
৫) “সূরা কাহফের” প্রথম দশ আয়াত মুখস্ত করলে দাজ্জালের ফিতনা থেকে মুক্তি লাভ করা সম্ভব হবে।“মুসলিম”।
৬) জুমার দিনে “সূরা কাহাফ” পাঠ করলে দুই জুমার মধ্যবর্তী জীবন আলোকময় হবে।“সহিহুল জামে”।
৭) “সূরা মূলক” তার তেলওয়াতকারীর জন্য সুপারিশ করে পাপক্ষালন করবে।“আবু দাউদ, তিরমিজি”।
৮) চারবার “সূরা কাফিরুন”পড়লে এক খতম করার সওয়াব পাওয়া যায়।“সহিহুল জামে”।

৯) “সূরা ইখলাস” আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত , রাসূলুল্লাহ (সাঃ) (সূরা) ‘কূল হুওয়াল্লাহু আহাদ’ সম্পর্কে বলেছেন, “সেই মহান সত্তার শপথ, যার হাতে আমার প্রান আছে, নিঃসন্দেহে এটি কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমতুল্য”।অপর এক বর্ণনায় আছে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সাহাবাগনকে বললেন, ‘তোমরা কি এক রাতে এক তৃতীয়াংশ কুরআন পড়তে অপারগ?’ প্রস্তাবটি তাদের পক্ষে ভারী মনে হল। তাই তারা বলে উঠলেন ‘হে আল্লাহর রাসূল! এ কাজ আমাদের মধ্যে কে করতে পারবে?’ ( অর্থাৎ কেও পারবে না।) তিনি বললেন, “কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ, আল্লাহুস সামাদ” (সূরা ইখলাস) কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমতুল্য”।(অর্থাৎ, এই সূরা পড়লে এক তৃতীয়াংশের কুরআন পড়ার সমান নেকী অর্জিত হয়।) (সহীহুল বুখারি ৫০১৫)।

১০) যে “সূরা ইখলাস” ভালবাসে সে আল্লাহর ভালবাসা ও জান্নাত লাভ করবে।“ বুখারি ও মুসলিম”।
১১) “সূরা ইখলাস” দশবার পাঠ করলে জান্নাতে একটি গৃহ নির্মাণ করা হবে।“সহিহুল জামে”।

১২) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বললেন (একবার) রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আমাকে রমযানের জাকাত(ফিৎরার মাল-ধন) দেখাশোনা করার দায়িত্ব দেন। বস্তুতঃ ( আমি পাহারা দিচ্ছিলাম ইত্যবসরে) একজন আগমনকারী এসে আজঁলা ভরে খাদ্যবস্তু নিতে লাগল। আমি তাকে ধরলাম এবং বললাম, ‘তোকে অবশ্যই রাসূলুল্লাহ (সাঃ) –এর কাছে পেশ করব।’ সে আবেদন করল,আমি একজন সত্যিকারের অভাবী। পরিবারের ভরণপোষণের দায়িত্ব আমার উপর, আমার দারুন অভাব।’ কাজেই আমি তাকে ছেড়ে দিলাম।
সকালে (রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর নিকট হাযির হলাম) রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, ‘হে আবূ হুরাইরা! গত রাতে তোমার বন্দী কী আচারন করেছে’? আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসূল! সে তার অভাব ও (অসহায়) পরিবার-সন্তানের অভিযোগ জানাল। সুতরাং তার প্রতি আমার দয়া হলে আমি তাকে ছেরে দিলাম ।’ তিনি বললেন, ‘ সতর্ক থেকো, সে আবার আসবে’।
আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর আনুরুপ উক্তি শুনে সুনিশ্চিত হলাম যে, সে আবার আসবে। কাজেই আমি তার প্রতীক্ষায় থাকলাম। সে (পুর্ববৎ) এসে আজঁলা ভরে খাদ্যবস্তু নিতে লাগল। আমি বললাম, ‘অবশ্যই তোকে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) –এর কাছে পেশ করব ।’ সে বলল, ‘আমি অভাবী,পরিবারের দায়ত্ব আমার উপর, (আমাকে ছেড়ে দাও) আমি আর আসব না ।’সুতরাং আমার মনে দয়া হল। আমি তাকে ছেড়ে দিলাম।
সকালে উঠে (যখন রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর কাছে গেলাম তখন) রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আমাকে বললেন, ‘‘আবূ হুরাইরা! গত রাতে তোমার বন্দী কী আচারন করেছে’? আমি বললাম, ‘ইয়া রাসূলুল্লাহ (সাঃ)! সে তার অভাব ও অসহায় সন্তানের-পরিবারের অভিযোগ জানাল। সুতরাং আমার মনে দয়া হলে আমি তাকে ছেরে দিলাম’। তিনি বললেন, ‘ সতর্ক থেকো, সে আবার আসবে’।
সুতরাং তৃতীয়বার তার প্রতীক্ষায় রইলাম। সে (এসে)আজঁলা ভরে খাদ্যবস্তু নিতে লাগল। আমি তাকে ধরে বললাম ‘‘এবারে তোকে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) –এর দরবারে হাযির করবই।’ এটা তিনবারের মধ্যে শেষবার । ‘ফিরে আসবো না’ বলে তুই আবার ফিরে এসেছিস ।’’ সে বলল ‘তুমি আমাকে ছেড়ে দাও, আমি তোমাকে এমন কতকগুলি শব্দ শিখিয়ে দেব, যার দ্বারা আল্লাহ তোমার উপকার করবেন ।’ আমি বললাম ‘সেগুলি কী?’ সে বলল, ‘যখন তুমি (ঘুমাবার জন্য) বিছানাই যাবে, তখন আয়াতুল কুরসী পাঠ ক’রে (ঘুমাবে) তাহলে তোমার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন রক্ষক নিযুক্ত হবে। আর সকাল পর্যন্ত তোমার কাছে শয়তান আসতে পারবে না’।
সুতরাং আমি তাকে ছেড়ে দিলাম। আবার সকালে (রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর কাছে গেলাম) তিনি আমাকে বললেন, ‘‘তোমার বন্দী কী আচারন করেছে?’’ আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসূল! সে বলল, ‘‘ আমি তোমাকে এমন কতিপয় শব্দ শিখিয়ে দেব, যার দ্বারা আল্লাহ আমার কল্যাণ করবেন ।’’ বিধায় আমি তাকে ছেড়ে দিলাম তিনি বললেন ‘‘সে শব্দগুলি কী?’’ আমি বললাম, ‘সে আমাকে বলল, ‘‘যখন তুমি বিছানাই (শোয়ার জন্য) যাবে, তখন আয়াতুল কুরসী শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ‘আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুম’ পড়ে নেবে ।’’সে আমাকে আর বলল, “তার কারনে আল্লাহর তরফ থেকে সর্বদা তোমার জন্য একজন রক্ষক নিযুক্ত থাকবে। আর সকাল পর্যন্ত তোমার কাছে শয়তান আসতে পারবে না’’।
(এ কথা শুনে) তিনি (সাঃ) বললেন, ‘‘শোনো ! সে নিজে ভীষণ মিথ্যাবাদী; কিন্তু তোমাকে সত্য কথা বলেছে। হে আবূ হুরাইরা! তুমি জান, তিন রাত ধরে তুমি কার সাথে কথা বলছিলে?’’ আমি বললাম, ‘জী না ।’ তিনি বললেন, ‘‘সে ছিল শয়তান’’। (সহীহুল বুখারী ২৩১১)।

১৩)উবাই ইবনে কা’ব (রাঃ) হতে বর্ণিত,তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘হে আবূ মুনযির! তুমি কি জান,মহান আল্লাহর গ্রন্থ (আল-কুরাআন) এর ভিতর তমার যা মুখস্থ আছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বড় (মর্যাদাপূর্ণ) আয়াত কোনটি?’ আমি বললাম, ‘সেটা হচ্ছে আয়াতুল কুরসী।’ সুতরাং তিনি আমার বুকে চাপড় মেরে বললেন, ‘আবুল মুনযির! তোমার জ্ঞান তোমাকে ধন্য করুক’। (মুসলিম ৮১০)

(অর্থাৎ তুমি, নিজ জ্ঞানের বর্কতে উক্ত আয়াতটির সন্ধান পেয়েছ, সে জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।)।

 

১৪)”সূরা ফালাক ও সূরা নাস” উকবাহ বিন আমের (রাঃ) হতে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ (সাঃ) একদা বললেন, ‘তুমি কি দেখনি, আজ রাতে আমার উপর কতকগুলি আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে; যার আনুরূপ আর কিছু দেখা যায়নি? (আর তা হল,) ‘কুল আউযু বিরাব্বিল ফালাক্ক’ ও ‘কুল আউযু বিরাব্বিল নাস’। (মুসলিম ৮১৪)।
আবূ সাঈদ খুদরী ( রাঃ) হতে বর্ণিত,তিনি বলেন ‘রাসূলুল্লাহ (সূরা ফালাক্ক ও নাস অবতীর্ণ হবার পূর্ব পর্যন্ত নিজ ভাষাতে) জিন ও বদ নজর থেকে (আল্লাহর) আশ্রয় প্রার্থনা করতেন। পরিশেষে যখন উক্ত সূরা দু’ টি অবতীর্ণ হল, তখন ঐ সূরা দু’টি দ্বারা আশ্রয় প্রার্থনা করতে লাগলেন এবং অন্যান্য সব পরিহার করলেন’। (তিরমিজী ২০৫৮)। 

images (1)

 

মুসলিমদের যেসকল বিশ বর্জন করা খুবই জরুরী। THE POISON IN 2020 YOU MUST AVOID!

খাদ্য যা মানুষের জন্য আল্লাহর একটি নেয়ামত। প্রকৃতিতে যেভাবে খাদ্য আছে সেগুলো আমাদের জন্য খুবই উপকারী ও দরকার। কিন্তু মানুষ আজকে ল্যাবরেটরিতে বিভিন্ন খাদ্য তৈরি করছে, জিন প্রযুক্তিতে খাদ্য পরবর্তনের চেষ্টা করছে এবং বাজারজাত করছে। যা আমাদের ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, স্ট্রক এর জন্য ১০০% দায়ী। তাই এই ভয়ংকর ল্যাবসৃষ্ট খাদ্য থেকে বাঁচতে হলে ভিডিওটি দেখুন ও সাবধান হউন।

ভিডিওটি দেখুন: ভিডিও লিংক । চ্যানেলটিতে লাইক ও সাবস্ক্রাইব করে রাখুন সুন্দর সুন্দর তথ্য পেতে।

bisborjon2

ভিডিওটি এই লিংকে দেখুন: সুরাইয়া টিভি বিডি এর সৌজন্যে। চ্যানেলটিতে লাইক ও সাবস্ক্রাইব করে রাখুন সুন্দর সুন্দর তথ্য পেতে। 

ইমাম আল বুখারী রহ. এর কবর দেখুন। Grave of Imam al Bukhari RA.

ইমাম আল বুখারী রহ. এর কবর দেখুন: সুরাইয়া টিভি বিডি এর সৌজন্যে। লাইক ও সাবস্ক্রাইব করে রাখুন পরবর্তী নতুন ভিডিও পেতে। ভিডিওটি ভালো লাগলে কমেন্টস ও শেয়ার করতে ভুলবেন না।

imambukharithnbnl

ভিডিও টি দেখুন এই লিংকে: সুরাইয়া টিভি বিডি এর সৌজন্যে।  ভালো লাগলে লাইক ও সাবস্ক্রাইব করে রাখুন পরবর্তী নতুন নতুন আপডেট পেতে।

করোনা ভাইরাস। হিন্দুর লাশ শসানে পোড়ালো মুসলমান।

করোনা ভাইরাস এর কারনে মৃত হিন্দুর লাশকে কেউ ধরতে চায়নি। এমনকি মুখে অগ্নি বা আগুন দিতেও তাদের সন্তানরা আসেনি। মুসলানরা হিন্দুর লাশকে সৎকার করলো। বিস্তারিত ভিডিওতে দেখুন।

hindurlasthbn

বিস্তারিত ভিডিওতে দেখুন: সুরাইয়া টিভি বিডি এর সৌজন্যে।  চ্যানেলটিতে লাইক ও সাবস্ক্রাইব করে রাখুন নতুন নতুন আপডেট পেতে।

মশা কিভাবে কামড়ায়? ডিপলুক জানতে হলে দেখুন।

এই পোস্টে আপনারা জানতে পারবেন কিভাবে মশা তার ৬ টি নিডিল দিয়ে কামড় দেয়। স্পেট বাই স্টেপ।

Mosarkamorthbnl2

”মশা” হচ্ছে পৃথিবীর ভয়ংকর প্রাণী। প্রত্যেক বছর হাজর হাজার মানুষ মারা যায় এর কামড়ের কারনে। বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় ”গর্ভবতী মহিলা” ও ”শিশু”। অন্য কোনকিছুর কামড়ে এত মানুষ মরে না বা অসুস্থ হয় না। তাহলে কি কারনে মশার এই কামড় এত ক্ষতিকর ও ইফেকটিভ হচ্ছে?

জেনে রাখুন, এদের মাঝে আমাদেরকে সুধু ”ফিমেল মশা” কামড় দেয়। ”ফিমেল মশার” রক্ত দরকার তার ডিম উৎপাদনের জন্য। এবং তাদের দরকার জমানো পানির পাত্র যাতে করে তাদের বাচ্চাদের উৎপাদন করতে পারে। এমনকি ফেলে দেয়া সামান্য একটু পানির পাত্র যথেস্ট! দেখতে মনেহয় যে এটি খুবই সাধারন রক্ত খাওয়ার সময়! কিন্তু সে রক্ত খেতে যে যন্ত্র ব্যাবহার করে তা খুবই জটিল! প্রথমত মশা একটি প্রটেকটিভ সিসটেম ব্যাবহার করে।

যদি আপনি তার মাথাটি মাক্রস্কোপে দেখেন তাহলে বুঝবেন যে কি সিসটেম ব্যাবহার করে। এর ভিতরে ৬ টি নিডিল থাকে। এর মাঝে দুটিতে খুব সুক্ষ ধারালো দাঁত থাকে। সে এটা চামড়াকে কাটতে ব্যাবহার করে। এগুলো এত ধারালো যে আপনি টেরই পাবেন না কাটার সময়! তার অন্য দুটি দাঁত টিসুকে আলাদা করে ধরে রাখে যখন সে কাজটি করে। চামড়ার নিচে সে রক্ত নালিকে সহজেই বুঝে নিতে পারে এর দারা।

রিসিপটর নিডিলটি দিয়ে সে এমন একটি ক্যামিকেল ব্যাবহার করে যা রক্তনালিকে সহজে ফুটো করতে সাহায্য ও গাইড করে। তারপর সে এই নিডিলটাকে রক্ত খেতে স্ট্র বা পাইপ হিসেবে ব্যাবহার করে। রক্ত খেতে থাকা কালিন সময়েই যখন তার পেট ভরতে থাকে তখন সে রক্তের পানিকে আলাদা করে। দেখুন সে কিভাবে পনিটি ফেলে। এভাবে সে পেটে জায়গা ফাঁকা করে বেশি রক্ত খেতে। অন্য নিডিলটি দিয়ে সে শরীরের ভিতরে ক্যামিকেল ঢুকিয়ে দেয়।

এর দারা তারা আমাদের শরীর থেকে সহজে রক্ত চুষে নেয় এবং পরে কামড়ের জায়গাটি গায়ে ফুলে থাকে। কখন কখন সে রক্ত খাওয়া শেষে চলে যাওয়ার আগে গিফট হিসেবে কিছু রেখে যায়। যা হচ্ছে তার ”স্যালাইভা” বা ”লালা”। ”ভাইরাস” বা ”প্যারাসাইট” যা আমাদের অসুস্থ করে ও মৃত্যু ঘটায়। এখানে তার কিছু করার নেই।

কেননা ঐ ভাইরাস বা প্যারাসাইট গুলো তাকে নি:স্বরণ করতে বাধ্য করে। এগুলো তার শত্রু এবং আমাদের শত্রু। তারা আমাদের রক্ত চুষে নেয়। কখন কখন আমরাও তাদের রক্ত নিয়ে নেই। যা অনেক সময় যথেস্ট নয়।

বিস্তারিত ভিডিওতে দেখুন: সুরাইয়া বিডি টিভি এর সৌজন্যে চ্যানেলটিতে লাইক ও সাবস্ক্রাইব করে রাখুন নতুন নতুন ভিডিও পেতে।

সাহাবায়েকিরাম বই ফ্রি।। [Sahabikiram Book Review]

Sahabekirambookfreef

সাহাবায়েকিরাম বই ফ্রি।। [Sahabikiram Book Review]
#Abdul_Hamid_Faizi #SLFxTalk #Faizi_Madani #Sahabi #Islam #Quran #Hadith #Salaf #Salehin
—–
বই: সাহাবায়েকিরাম
সংকলক: শায়খ আব্দুল হামিদ ফাইযী মাদানী হাফিজাহুল্লাহ। প্রকাশনি: তাওহীদ পাবলিকেশন্স।
এই বইয়ে শায়খ সংকলন করেছেন,
১. সাহাবী কি?
২. সাহাবী রা. দের মর্যাদা
৩. সাহাবী রা. দের সম্মন্ধ্যে কোরআন ও সহীহ হাদসে মর্যাদা
৪. বদরী সাহাবী উহুদের সাহাবী রা. দের পরিচয়।
৫. সাহাবী রা. দের উপর আমাদের কর্তব্য
৫. সবথেকে সুন্দর একটি বিষয় শায়খ সংযুক্ত করেছেন যা জ্ঞান পিপাষুদের জন্য খুবই আগ্রহের বিশয় হবে ইনশাআল্লাহ সেটি হচ্ছে: সাহাবী রা. দের সম্মন্ধ্যে আয়েম্মায়ে কেরাম সালাফদের কওল। এই অংশটি সত্যি খুবই সুন্দর সংকলন মাশাআল্লাহ।
আইয়ুব সাখতিয়ানি রহ. বলেন: যে ব্যাক্তি আবু বকর রা. কে ভালোবাসল, সে দ্বীন প্রতিষ্টা করল। যে ব্যাক্তি উমারকে রা. ভালোবাসল, সে পথ স্পষ্ট করল। যে ব্যাক্তি উসমান রা. কে ভালোবাসল, সে আল্লাহর আলোকে আলোকিত হল। আর যে ব্যাক্তি আলী রা. কে ভালোবাসল, সে মজবুত হাতল ধারণ করল। আর যে ব্যাক্তি রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াস সাল্লামদের সম্মন্ধ্যে ভালো কথা বলল, সে মুনাফিকী থেকে মুক্ত হয়ে গেল। (আল বিদায়া আন নিহায়া ৮/১৩)
—–
ইনশাআল্লাহ, বইটি ফ্রি দেয়া হচ্ছে। আগ্রহীগন যোগাযোগ করুন। আমাদের ফেসবুক পেইজ লাইক ও শেয়ার দিয়ে সি ফাস্ট করে রাখুন। ইউটিউবে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন ও বেল বাটন অন করে রাখুন পরবর্তী নতুন চমক পেতে।

ইনশাআল্লাহ খুব শিঘ্রই আমরা দামি দামি বই ফ্রি দিতে যাচ্ছি। আমাদের সাথেই থাকুন।
—-
বিদ্র: আমাদের ভিডিও কপিরাইট মুক্ত। আমাদের লিংক সহ শেয়ার করতে কোন বাধা নেই।

ভিডিওর লিংক: https://youtu.be/XO-fc_g_sPA
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব লিংক: https://www.youtube.com/channel/UC9qZPd2C8yoT6qEq_n308Hg?view_as=subscriber
আমাদের ফেসবুক পেইজ: https://web.facebook.com/SLFxTalk

 

“হে আব্দুল্লাহ! তোমার নাক-কান কিসে কাটা গেল?

dua1

দুইজন একসঙ্গে হলেন। দুজনই রসুল সা এর সাহাবী।

নাম: আব্দুল্লাহ ইবনে জাহাশ (রা) ও সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা)। আগামিকাল একটি যুদ্ধের দামামা বাজবে তাই দুজনে আলোচনা করলেন যে, কি করা যায়। আব্দুল্লাহ ইবনে জাহাশ (রা) বললেন, সাদ আগামী কালের যুদ্ধের জন্য চলুন দোআ করি। আমরা দুজনে যার যা ইচ্ছা ও আশা তা আল্লাহর কাছে চাইবো, অন্যজন তাতে আমীন বলবো। তাহলে আমাদের দুআ কবুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে বেশী।

সাদ (রা) রাজী হলেন। যুদ্ধের আগে দোআ করে ময়দানে নামা উচিত।

কথামতো আগে দোআ করবেন সাদ (রা) এবং আব্দুল্লাহ (রা) আমীন বলবেন, পরে দোআ করবেন আব্দুল্লাহ (রা) আর সাদ (রা) আমীন বলবেন।

সাদ (রা) এর দোআ:

আল্লাহ! আগামীকাল জিাহদের ময়দানে আমাকে সবচেয়ে শক্তিশালী শত্রুর মুকাবেলা করার সুযোগ দাও। সেই শত্রু যেন আমাকে আক্রমন করে এবং আমি তাকে তোমার রাস্তায় হত্যা করতে পারি। তোমার পথে তার জীবনটা খতম করে দিতে পরি। আর তার গনীমতের সম্পদ যেন আমাদের হাতে চলে আসে।

আব্দুল্লাহ ইবনে জাহাশ (রা) বললেন:  আমীন।

এবার আব্দুল্লাহ ইবনে জাহাশ (রা) এর দোআ:

আল্লাহ! আগামীকাল জিাহদের ময়দানে আমাকে সবচেয়ে শক্তিশালী শত্রুর মুকাবেলা করার সুযোগ দাও। সেই শত্রু যেন আমাকে আক্রমন করে এবং আমি্ও যেন তার উপর মারাত্বক আক্রমন করতে পারি। এর পর সে যেন আমাকে শহীদ করে ফেলে এবং নাক ও কান কেটে ফেলে। কেয়ামতের ময়দানে আমি যখন আপনার দরবারে হাজির হবো, তখন আপনি জিজ্ঞাসা করবেন- “হে আব্দুল্লাহ! তোমার নাক কান কিসে কাটা গেল? আমি তখন আরজ করবো- আমার নাক ও কান আপনার এবং আপনার রসুলের পথে কাটা গেছে। এরপর হে আল্লাহ! আপনি  বলবেন- “তুমি সত্যই বলেছে। আমার রাস্তায় তোমার নাক-কান কাটা গেছে”।

সাদ (রা) হতবাক হয়ে রইলেন এবং বললেন: আমীন।

সাদ (রা) আব্দুল্লাহ (রা) এর দোআ শুনেই চমকে উঠেছিলেন। আব্দুল্লাহ (রা) সরাসরি শাহাদাতের দুআ করেছেন, এর মানে, এই দুআ কবুল হলে জিহাদের ময়দান থেকে তিনি আর ফিরবেন না। কিন্তু সাদ (রা) এর কিছুই করার নাই। কেননা তিনি কথা দিয়েছেন যে, দোআয় আমীন বলবেন।

পরের দিন যুদ্ধ হলো, সাদ (রা) যুদ্ধে জয়ী হয়ে ফিরলেন। আর তিনি গতদিনে দোআর ফল দেখার জন্য সন্ধার দিকে ময়দানে বের হলেন।

রক্তে মাখামাখী হওয়া সাহাবীগেনের চেহারা দেখতে দেখতে এক জায়গায় সাদ (রা) দেখলেন আব্দুল্লাহ (রা) এর রক্তাক্ত শরীর মাটিতে পড়ে আছে। তার পশে পড়ে আছে তার কাটা যাওয়া নাক ও কান।

সব মানুষ ই জয়ী হতে চায়। পরকালের জয়ীরাই আসল জয়ী। দোআ করুন এরকম পরকালের জয়ের দোআ। আমীন।

(সাহাবায়ে কেরামের গল্প বই থেকে সংক্ষিপ্ত ও পরিমার্জিত)

কোরআনের নকল করতে গিয়ে এক ইয়াহূদীর ইসলাম গ্রহণ!

Untitled-1

আব্বাসী খলীফা মামুনুর রশীদের শাসনামলে জ্ঞান চর্চার মূল্যায়ন করাহত, যেখানে সকলেরই প্রবেশধিকার ছিল। একটি বৈঠকে একজন ইয়াহুদী উপস্থিত ছিল, তার জ্ঞানগর্ভ এবং সাহিত্যপূর্ণ আলোচনায় আকৃষ্ট হয়ে তাকে খলীফা মামুন ইসলাম গ্রহন করার জন্য দাওয়াত দিল। কিন্তু ইয়াহূদী তা প্রত্যাখ্যান করল।

এক বছর পর ঐ ইয়াহূদী আবার ঐ বৈঠকে উপস্থিত হলো কিন্তু এ সময়ে সে ইসলাম গ্রহন করেছে। এ ব্যাপারে খলীফা মামুনুর রশীদ তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে বলল,

  • আমার হাতের লেখা সুন্দর, আমি বই লিখে বিক্রি করি। আমি পরীক্ষামূলকভাবে তাওরাতের তিনটি কপি লিপিবদ্ধ করেছি। সেখানে বহু স্থানে আমি আমার নিজের পক্ষ থেকে কমবেশি করেছি এবং এক কপি নিয়ে ইয়াহূদীদের গীর্জায় গিয়েছি। ইয়াহূদীরা যথেস্ট আগ্রহ নিয়ে তা ক্রয় করেছে।
  • এরপর ইঞ্জিলের তিনটি কপি পরিবর্তন করে লিখে তা চার্চে নিয়ে গেলাম এবং নাসারা বা খ্রিষ্টানদের নিকট তা বিক্রি করলাম।
  • এরপর কুরআন মাজীদের তিনিটি কপি নিলাম এবং এখানেও ঐভাবে কমবেশি করে লিখলাম এবং মসজিদে নিয়ে গিয়ে তা মুসলমানদের নিকট বিক্রি করে দিলাম।

কিন্তু কোরআনের এ তিনটি কপিই খুব তাড়াতাড়ি আমাকে ফিরিয়ে দেয়া হলো এ বলে যে, এটাতে পরিবর্তন করা হয়েছে, অথচ তাওরাত এবং ইঞ্জিলের সমস্ত কপি বিক্রি হয়েছে এবং কোন কপিই ফেরত আসেনি!

এ ঘটনার পর আমার বিশ্বাস জন্মাল যে, সত্যিই কুরআন মাজীদ আল্লাহর সংরক্ষণের দায়িত্ব নিয়েছেন, তাই আমি মুসলমান হয়ে গেলাম। আল্লাহুআকবার! আল্লাহুআকবার! আল্লাহুআকবার!

আল্লাহ বলেন:

إِنَّا نَحْنُ نَزَّلْنَا الذِّكْرَ وَإِنَّا لَهُ لَحَافِظُونَ

আমিই জিকর (কুরআন) অবতীর্ণ করেছি এবং আমিই উহার সংরক্ষক। (সুরা হিজর আয়াত-৯)

(মাআরেফুল কোরআন হতে উদ্ধৃত)