অনলাইন রামাযান প্রতিযোগিতা ২০১৩ এর ফলাফল

সালাফি বিডি যুবাইল দাওয়া েএন্ড গাইডেন্স সেন্টার এর পক্ষ থেকে অনলাইন রামাযান প্রতিযোগিতা ২০১৩ এ অংশ গ্রহণ করে আমি আলহামদুলিল্লাহ ৮ম স্থান অধিকার করেছি আলহামদুলিল্লাহ 🙂

আমার দেয়া প্রশ্নের উত্তর গুলো আমি সবার জন্য উনমুক্ত করে দিলাম। আল্লাহ আমাদের ভাল কাজগুলো গ্রহন করুন আমিন।

ক) আক্বীদা বিষয়ক প্রশ্নঃ

০১. “লাইলাহা ইল্লাল্লাহ; মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ” এর সঠিক অর্থ লিখুন।

উত্তরঃ আল্লাহ ছাড়া  সত্য কোন ঊপাস্য নাই এরং মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসসাল্লাহম আল্লাহর রসুল”

মাবুদ তো অনেক আছে তবে আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন মাবুদ নাই এটাই বোঝানো হয়েছে।

কোরআন:

وَمَا أَرْسَلْنَا مِن قَبْلِكَ مِن رَّسُولٍ إِلَّا نُوحِي إِلَيْهِ أَنَّهُ لَا إِلَٰهَ إِلَّا أَنَا فَاعْبُدُونِ

আমি তোমার পূর্বে যে রসূলই পাঠিয়েছি তার প্রতি এ অহী করেছি যে, আমি ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই কাজেই তোমরা আমারই বন্দেগী করো৷(আল আম্বিয়া ২৫)

 

হাদীস:

আনাছ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেছেন, রাসুল (সাঃ) এবং ময়াজ রাঃ একবার সওয়ারীর পিঠে আরোহন করে কোথাও যাচ্ছেন এমন সময় নবী সাঃ মোয়াজকে ডাকলেন . তিনি বললেন, লাব্বাইকা ওয় সায়াদাইকা ইয়া রাসুলুল্লাহ , হে মোয়াজ, যে বান্দাই এ সাক্ষ্য প্রধান করবে যে , আল্লাহ ব্যতীত কোনো সত্য মাবুদ নেই এবং মোহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর রসুল ” আল্লাহ তাকে জাহান্নামের জন্য হারাম করে দিবেন (বুখারী)

ওবাদাহ রাঃ থেকে বর্ননা করেন যে , রাসূল সাঃ বলেন “যে ব্যক্তি সাক্ষ্য দিবে যে,আল্লাহ ব্যতীত কোন সত্য ইলাহ নেই এবং মোহাম্মদ সাঃ আল্লাহর বান্দাহ এবং তাঁর রাসূল , আল্লাহ তাকে জাহান্নামের জন্য হারাম করে দিবেন ” (মুসলিম)

……………………………………………………………………………………………………………….

০২. আল্লাহ কোথায় অবস্থান করেন? একটি দলীলসহ উল্লেখ কর“ন।

উত্তরঃ ”আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা আসমানে আরশের উপর সমাসীন রয়েছেন”

কোরআন:

অর্থ:‘ নিশ্চয় তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহ্‌, যিনি আকাশ সমূহ এবং পৃথিবীকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তিনি আরশে অধিষ্ঠিত হয়েছেন।’ (সূরা আরাফ-৫৪)

অর্থ: ‘রহমান (আল্লাহ্‌) আরশে সমুন্নত।’ (সূরা ত্বহা-৫) এ কথায় কোনই সন্দেহ নেই যে আরশ আসমান রয়েছে জমিনে নয়। …………………………………………………………………………………………………………………………

০৩. মুসলিম দেশে বসবাসকারী কোন অমুসলিমকে হত্যা করার পরিণাম কী?

উত্তরঃ মুসলিম দেশে বসবাসকারী কোন অমুসলিমকে শরয়ী কারন ছাড়া হত্যা করা যাবেনা।কেউ হত্যা করলে তার পরিণাম সে যেন সব মানুষকেই হত্যা করল।

কোরআন:

এ কারণেই আমি বনী-ইসলাঈলের প্রতি লিখে দিয়েছি যে, যে কেউ প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ অথবা পৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করা ছাড়া কাউকে হত্যা করে সে যেন সব মানুষকেই হত্যা করে। এবং যে কারও জীবন রক্ষা করে, সে যেন সবার জীবন রক্ষা করে। তাদের কাছে আমার পয়গম্বরগণ প্রকাশ্য নিদর্শনাবলী নিয়ে এসেছেন। বস্তুতঃ এরপরও তাদের অনেক লোক পৃথিবীতে সীমাতিক্রম করে।

(সুরা মায়েদা ৫/৩২)

…………………………………………………………………………………………………………..

০৪. পিতা-মাতা, সন্তান, মসজিদ, কাবা প্রভৃতির নামে শপথ করার হুকুম কি?

উত্তরঃ পিতা-মাতা, সন্তান, মসজিদ, কাবা প্রভৃতির নামে শপথ করা জাবে না ।

হাদীস: আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রা) হতে বর্ণিত একবার রসুল (সা)উমর ইবন খাত্তাব (রা) কে বাহনে চড়া অবস্থায় পেলেন যখন তিনি তার পিতার নামে কসম করছিলেন।তিনি বললেন, সাবধান! আল্লাহ তোমদেরকে তোমাদের বাপ-দাদার নামে কসম করতে নিষেধ করেছে। কেউ কসম করতে চাইলে সে যেন আল্লাহর নামে কসম করে, নইলে যেন চুপ থাকে। (বুখারী: ৬ষ্ট খন্ড: হা/৬৬৪৬, ৬৬৪৮, ৬৬৫০, ৬৬৫১ তাওহীদ প্রকাশনী)

……………………………………………………………………………………………………………………..

০৫. কোন মুসলমানকে কাফের বলার পরিণতি কি?

উত্তরঃ ঐ ব্যক্তি কাফের না হলে, কথাটি যে বলেছে তার উপর পতিত হবে।

(বুখারী: হা/৬১০৩, ৬১০৪  তাওহীদ প্রকাশনী, সহিহ মুসলিম ১/২৬, মুসনাদে আহমাদ: ৫২৫৯) ………………………………………………………………………………………………………………………

খ) নামায বিষয়ক প্রশ্নঃ (সঠিক উত্তরে টিক চিহ্ন (✔)  দিন।)

০১. কোন কাজটি নামাযের র“কন।

উত্তরঃ সূরা ফাতিহা পাঠ।

  • সূরা ফাতিহা পাঠ 
  • ছানা পাঠ 
  • হাত বাঁধা 

০২. জামাতের সাথে নামায পড়লে কতগুণ বেশী ছওয়াব পাওয়া যায়?

উত্তরঃ ২৭গুণ।

  • ৫০গুণ 
  • ২৭গুণ 
  • ৩০গুণ 

০৩. ফরয নামায শেষে দলবদ্ধ মুনাজাত করা কি?

উত্তরঃ বিদআত।

  • ওয়াজিব 
  • সুন্নাত 
  • বিদআত 

০৪.  কোন মুক্তাদী যদি ই”ছাকৃতভাবে ইমামের পূর্বে র“কূ করে, তবে তার: নামায বাতিল।

  • নামায বিশুদ্ধ 
  • নামায বাতিল 
  • নামায বিশুদ্ধ কিন্তু এরূপ করা মাকরূহ 

০৫. কোন মানুষ যদি নামায পড়তে ভুলে যায় তবে উহা কখন আদায় করবে?

উত্তর: স্মরণ হওয়ার সাথে সাথে।

  • পরবর্তী দিন উক্ত নামাযের সময়
  • স্মরণ হওয়ার সাথে সাথে 
  • পরবর্তী ফরয নামাযের সময় 

গ) সিয়াম ও রামাযান বিষয়ক প্রশ্নঃ

০১. সিয়াম ইসলামের একটি স্তম্ভ । হাদীস থেকে এ ব্যাপারে একটি দলীল পেশ কর“ন।

উত্তরঃ হাদীস: আব্দুল্লাহ বিন উমার (রা) হতেবর্ণিত তিনিবলেন,রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ইসলাম পাঁচটি স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত। লা ‘ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ তথা এ কথার স্বাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ সা: আল্লাহর রাসুল, নামায প্রতিষ্ঠা করা, যাকাত প্রদান করা, হজ্জ আদায় করা এবং রামাযান মাসে রোযা রাখা। [বুখারী: হা/৮ তাওহীদ প্রকাশনী]

……………………………………………………………………………………………………………….

০২. সিয়ামের ফযীলত সম্পর্কে একটি হাদীস উল্লেখ কর“ন।

উত্তরঃ সিয়ামের ফযীলত সম্পর্কে হাদীস

হাদীস:

আবু হুরাইরাহ (রা)হতে বণিত নবী (সা) বলেছেন, যে ব্যাক্তি লাইলাতুল ক্বদরে ঈামানের সাথে সওয়াবের আশায় রাত জেগে ইবাদত করে, তার পিছনের সমস্ত গোনাহ ক্ষমা করা হবে আর যে ঈামানের সাথে সওয়াবের আশায় রমাযানের সিয়াম পালন করবে, তারও অতীতের সমস্ত গোনাহ মাফ করা হবে

(বুখারী: ২য় খন্ড হা/১৯০১ তাওহীদ প্রকাশনী)

…………………………………………………………………………………….

০৩. সূর্যাস্তের সাথে সাথে দ্র“ত ইফতার করার ফযীলত কী?

উত্তরঃ সূর্যাস্তের সাথে সাথে দ্র“ত ইফতার করলে সে কল্যানের উপর থাকবে এবং এটি নবুয়াতের আদর্শ।

হাদীস:

সাহল ইবন সাদ (রা) হতে বর্ণিত যে, আল্লাহর রসুল(সা) বলেছন: লোকেরা যতদিন শীঘ্র ইফতার করবে, ততদিন তারা কল্যানের উপরে থাকবে। (বুখারী: ২য় খন্ড হা/১৯৫৭ তাওহীদ প্রকাশনী)

এছাড়াও জলদি ইফতার করা নবুয়াতের আদর্শ (তাবারানী, মু’জাম, মাজমাউয যাওয়ায়েদ ২/১০৫, সহীহুল জামেইস সাগীর, আলবানী ৩০৩৮)

………………………………………………………………………………………………………………………..

০৪ মক্কা বিজয় কত হিজরীর কোন মাসে সংঘটিত হয়?

উত্তরঃ মক্কা বিজয় হয় ৮ম হিজরীতে রমাযান মাসে।

……………………………………………………………………………………………………………….

০৫. সিয়াম ভঙ্গ হয় এমন ৩টি বিষয় লিখুন।

উত্তরঃ সিয়াম ভঙ্গ হয় এমন ৩টি বিষয় হল, ১. সিয়াম অবস্থায় স্ত্রী-সহবাস করলে (কোরআন:২/১৮৭, হাদিস: বুখারী/১৯৩৭ তাওহীদ প্রকাশনী) ২. ইচ্ছাকৃত ভাবে বির্যপাত করলে বা করালে (বুখারী: হা/১৮৯৪ তাওহীদ প্রকাশনী)৩. ইচ্ছাকৃত পানাহার করলে (কোরআন:২/১৮৭)

…………………………………………………………………………………………………………….

০৬. রোযা অবস্থায় স্ত্রী সহবাসে লিপ্ত হলে তার করণীয়?

উত্তরঃ রমাযান সিয়াম অবস্থায় স্ত্রী সহবাসে লিপ্ত হলে করণীয়

১. কাবীরা গুনাহ: ফলে তওবা করতে হবে ২.তার ঐ দিনের রোযা বাতিল হয়ে যাবে ৩. বাকী দিন পানাহার থেকে বিরত থাকতে হবে ৪. ঐ দিনের রোযা রমাযান পরে কাযা করতে হবে ৫. বৃহৎ কাফফারা আদায় করতে হবে আর তা হল একটি কৃতদাস কে মুক্ত করতে হবে, তাতে সক্ষম না হলে লাগাতার ২মাস রোযা রাখতে হবে, আর তাতেও সক্ষম না হলে ৬০ জন মিসকিনকে খাদ্য দান করতে হবে। (বুখারী: হা/১৯৩৭ তাওহীদ প্রকাশনী)

………………………………………………………………………………………

Posted on অগাষ্ট 18, 2013, in ইসলামকে জানা and tagged . Bookmark the permalink. এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান.

এই সাইডটি ভিজিট করার সময় আপনি যাদি কোন অশ্লীল এডভাটাইজমেন্ট দেখেন তাহলে একটু হোমপেজের পাশে “এডভাটাইজমেন্ট মুক্ত ব্রাউজিং করুন” পাতাটি দেখুন।